নিউজবাংলা: ১৬ আগস্ট, রোববার:

ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ৩২টি না হোক, আমাদের ১৬টি দাঁত দিন যাতে সময়ে সময়ে কামড় দিতে পারি। আজ রবিবার রাজধানীর সিরডাপে এক পরামর্শক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বিতীয় পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পের (২০১৬-২০২০) ওপর এ পরামর্শক সভার আয়োজন করা হয়। ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচারের জন্য ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ১৩ বছরের ফেলানীকে অন্যায়ভাবে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা গুলি করে হত্যা করে। দুইবার বিচার চেয়েও তার বাবা ন্যায়বিচার পায়নি।

মিজানুর রহমান আরও বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। এ জন্য ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রেমিটেন্স আয়, রিজার্ভ সবকিছু্ই ইতিবাচক রয়েছে। এর অর্থ হলো বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, আমরা মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছরই রাখবো। এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে যেসব শিশু হত্যা হয়েছে তা আমাদের সকলের হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেছে। এসব শিশু হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। রাজন, রাকিবদের হত্যাকারীদের ধরা হয়েছে। আশা করি শিগগির তাদের বিচার হবে।

ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, নেপালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি প্রকাশ চন্দ্র শর্মা অস্থি, ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিচারপতি শ্রী ধর্মা মরগেসন।

নিউজবাংলা/একে