রক্তে উচ্চ শর্করা বৃদ্ধির লক্ষণসমূহ
নিউজবাং লা: ২০আগস্ট, বৃহস্পতিবার:
ঢাকা: ডায়াবেটিস– যা বাংলাতে বহুমূত্র রোগ নামে পরিচিত তা এখন ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের প্রতিটি স্তরে। ডায়াবেটিসের রোগের জন্য দায়ি রক্তে শর্করার মাত্রা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া।
আর এর ফলে দেহে কি ধরনের সমস্যা হয় তা সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সকলেই অবগত। অনেক কারণেই দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে কিছু লক্ষণে তা প্রকাশ পায়। অনেকে হয়তো এই সকল ব্যাপার জানেন না বা জানলেও লক্ষ্য করেন না। কিন্তু শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে দেহে কখন শর্করা বেড়ে যাচ্ছে তা লক্ষ্য করা অনেক জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক কি কি লক্ষণে বোঝা যাবে দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেছে।
অতিরিক্ত পিপাসা:
যখন দেহ থেকে সুগার বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে তখন অনেক প্রস্রাব পায়। এবং তখন কিডনি দেহের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এতে করে দেহে পানির ঘাটতি হতে থাকে, যার ফলে ঘন ঘন পানির পিপাসা পায়।
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া:
দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনিতে চাপ ফেলতে থাকে দেহ থেকে সুগার বের করে দেয়ার জন্য। সেকারণেই ঘন ঘন বাথরুম পায় বলে জানান বিশেষজ্ঞগণ।
ওজন কমে যাওয়া:
ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
দুর্বলতা অনুভব করা:
খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা দেহে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ। সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে দেহে পানির ঘাটতি ঘটে। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে দেহ দুর্বল হয়ে পড়ে।
শীর্ণতা:
হাতে পায়ে বোধশক্তি না থাকা। হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষণ। এবং এটি বেশ মারাত্মক পর্যায়ের লক্ষণ।
চোখে ঘোলাটে দেখা:
দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে দৃষ্টিশক্তির উপর এতে করে চোখে ঘোলাটে দেখার সমস্যা তৈরি হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দেয়া। শরীরের কোথাও ক্ষতের সৃষ্টি হলে দেরিতে শুকানো। সামান্য পরিশ্রমে ক্লান্তবোধ হওয়া। যৌন ক্ষমতা হ্রাস। হাতে পায়ের স্বাভাবিক অনুভূতি লোপ পাওয়া। প্রস্রাবের রাস্তায় প্রদাহ। ইত্যাদিও রক্তে সুগারের বা শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ।-সূত্র: ব্লাদস্কাই।
নিউজবাংলা/একে