গাইবান্ধা : জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। বন্যার পানি বিদ্যালয়ের মাঠ ও ক্লাসরুমে ঢুকে পড়ায় চার উপজেলায় আরও ৩২টি সরকারি প্রাথমিক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলায় বন্যাকবলিত ৩২টি বিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে সোমবার জেলার ফুলছড়ি উপজেলার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত জেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফুলছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহিশ শাফী জানান, ফুলছড়ি উপজেলার ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ওঠায় ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির কথা চিন্তা করেই পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি বিদ্যালয় চত্বর থেকে এখন ক্লাস ও অফিস কক্ষে প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার চার উপজেলায় ৫৫টি বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দুয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশ কিছু বিদ্যালয় বন্ধ করতে হবে। বন্যার পানি কমে গেলে বন্ধ হওয়া এসব বিদ্যালয়ে বন্ধের দিনও অতিরিক্ত ক্লাস করে শিক্ষার্থীর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হবে।