নিউজবাংলা: ২৭আগষ্ট, বৃহস্পতিবার:

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়ন ও কুপতলা ইউনিয়নের সংযোগ অত্র এলাকার হাজার হাজার জনগণকে গাইবান্ধা শহরে আসার একমাত্র কাজলঢোপ (চৌধুরী ভিটা) এলাকায় নির্মিত ঘাঘট  ব্রজি সংলগ্ন স্থানে শহর রক্ষাবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন।

নদীর দক্ষিণ তীরে জনৈক ব্যক্তির বাড়ির উচু ভিটায় আটকে থাকা বন্যার পানি ¯্রােতের তোড়ে ভাঙ্গার উপক্রম হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এফাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে এলাকার জনগণ মাটি ফেলে আটকানোর চেষ্টা। উত্তর তীরের শত শত মানুষের বাড়িঘর বন্যার পানির নীচে তলিয়ে গেলেও সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন  প্রকার বরাদ্দ বরাদ্দ না আসায় বানবাসী মানুষ দূর্বিসহ জীবন যাপন করছে। দক্ষিণ তীর রক্ষার জন্য অদ্যাবধি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের উত্তর সীমান্ত ও কুপতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ সীমান্তের সংযোগ স্থল কাজলঢোপ (চৌধুরীপাড়া) এলাকায় ১৯৯৮ সালে ঘাঘট নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ফলে উল্লেখিত এলাকার শত শত মানুষ ওই  ব্রীজ দিয়ে পাড় হয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যাতায়াত করতে থাকে। কিন্তু ২ বছর আগে বন্যায় ওই  ব্রীজ থেকে মাত্র দেড়শো গজ পূর্ব পাশে দক্ষিণ পাশের শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে ভেঙ্গে গেলে আকবর আলী, রবিউল, ফজলুর রহমান, খাজা মিয়া ও মোজা মিয়াসহ ৫টি পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এলাকার সচেতন জনগণ নদী গর্ভে বিলীন হওয়া শহর রক্ষা বাঁধের অংশটিতে এলাকা সমুহের লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার্থে বাঁশের সাঁকো তৈরী করেন। দুই মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়  প্রকাশ করা হলেও শুধু পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষই নয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি  উপজেলা বা জেলা পর্যায়ের কোন কর্তৃপক্ষই কান মাথা নাড়েনি।
এদিকে বন্যা শুরু হওয়ায় ঘাঘট নদীর উত্তর তীরের শত শত মানুষের বাড়িঘর ইতোমধ্যে পানির নীচে তরিয়ে গেছে। দক্ষিণ তীরের ভাঙ্গন কবলিত উল্লেখিত অংশটি মেরামত করা না হলে বল্লমঝাড় ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা জমি তলিয়ে যাবে এবং চলতি আমন আবাদগুলো বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই জরুরী ভিত্তিতে দক্ষিন তীরের ভাঙ্গন কবলিত স্থানটি মেরামত করা  প্রয়োজন|

নিউজবাংলা/একে