নিউজবাংলা: ২৯আগষ্ট, শনিবার:

ঈশ্বরদী(পাবনা)প্রতিনিধি:

প্রেমের ফাঁদ পেতে এক প্রেমিককে অপহরণ করার অভিযোগে প্রেমিকাসহ চার অপহরনকারীকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় শুক্রবার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্র সেলিম রেজাকে উদ্ধার করেছে। সে রাজশাহী পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ অপহরণকারীদের কাছ থেকে অপহত সেলিম রেজাকে উদ্ধার ও ঘুমের বড়ি মিশ্রিত মিরিন্ডা পানীয় এবং একটি মাইক্রোবাস জব্দ করেছে। প্রেমিকের মা ওই রাতেই মামলা করেছেন প্রেমিকাসহ চারজনের নামে।

অপহরণের মামলার গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলো ওই ছাত্রের প্রেমিকা (২৭)। সে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার হাটবাড়িয়া এলাকার ইয়াসিন আলীর মেয়ে ( নাম প্রকাশ করা হলো না)। এছাড়া আমিনপুর থানার ধুলাউরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রুবেল, পাটকয়া গ্রামের মৃত আজগর প্রামানিকের ছেলে কামরুল ইসলাম এবং আমিনপুৃর থানার সৈয়দপুর এলাকার ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে মাইক্রো চালক মাহাফুজ শেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও তিন জন আসামি। শনিবার দুপুরে এদেরকে পাবনা জেল হাজতে পাঠানো হয়।

অপহৃত ছাত্র সেলিম রেজা জানান, বেশ কিছুদিন আগে মুঠোফোনে একটি মেয়ের সাথে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

প্রেমিকা তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাত করার জন্য তাকে ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিকট আসতে বলে। প্রেমিকার অনুরোধে সে শুক্রবার পাকশীতে ব্রিজ দেখার জন্য আসে। উভয়ে ব্রিজ দেখা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একটি মাইক্রো তাঁর সামনে এসে থামে এবং তাকে প্রেমিকার সহযোগিতায় জোর করে মাইক্রো বাসের মধ্যে তুলে নিয়ে পাঁচ ছয় জন মিলে অপহরনের চেষ্ঠা করে। এ সময় সে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে এলাকাবাসী অপহরণ কারীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবু ওবায়েদ জানান, ধারনা করা হচ্ছে মুক্তিপনের দাবিতে কিংবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে সেলিম রেজাকে পরিকল্পিত ভাবে অপরহণ করা হচ্ছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অপহরনের ঘটনায় ওই রাতে একটি মামলা দায়ের করেছে প্রেমিক সেলিম রেজার মা ছেলিনা বেগম।

নিউজবাংলা/একে