নিউজবাংলা: ২৯আগষ্ট, শনিবার:

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সর্বনাশ হয়েছে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দেড় হাজার মৎস্য খামারীর। জাবেদ আলী নামের এক মাছের খামার মালিক জানান তারা কয়েকজন মিলে তিনি ৪৬ একর জমিতে খামার গড়ে তোলেন। এই খামারের দেড় কোটি টাকার মাছ পানিতে ভেসে গেছে ।

তার মতো বন্যার পানিতে সর্বানন্দ,শাহবাজ,বামনডাংগা,শান্তিরাম,ধোপাডাংগা,ছাপরহাটি সহ গোটা উপজেলা জুড়ে দেড় হাজার খামারী তাদের খামারে মৎস্য চাষ করতেন। কারো খামারের পরিমান ৩৬ বিঘা,কারো ৫০ বিঘা। এছাড়াও ছোট-বড় অসংখ্য মাছের খামার রয়েছে এইসব এলাকায়।

এরকম প্রায় দেড় হাজার খামারে গড়ে ১০ লাখ থেকে দেড় কোটি টাকার ছোট বড় দেশী মাছ চাষ করা হয়। আকারেও হয় ১ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত। মাছ বিক্রির সময়ও হয়েছে। কিন্তু তার আগেই হঠাৎ বন্যা ও ঘাঘট নদীর পানির চাপে সর্বানন্দ-বামনডাঙ্গা সংযোগ সড়কের মতিনের বাজার নামক স্থানের কিছু অংশ ছিড়ে গেলে পুকুর উছলিয়ে সব মাছ বের হয়ে যায়। তড়িঘরি করে শাড়ি কাপড়,জাল ও মশারী দিয়ে মাছ আটকানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। পুরো গ্রামের পর গ্রাম জুড়ে খামারীদের আহাজারি। কেউ ব্যাংক ঋণ অথবা দাদনের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেন লাভের আশায়। কিন্তু পুকুর থেকে মাছ রেব হয়ে যাওয়ার কারনে পথে বসেছে দেড় হাজার খামারী। তাদের সাথে পথে বসেছে প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক।

নিজের স্ত্রীর শাড়ি দিয়ে,জাল দিয়ে,মশারী দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি মাছ। এখনও ব্যর্থ চেষ্টা করছেন। তারা এখন পথের ফকির। ক্যামন করে ঋণ শোধ করবে আর ক্যামন করে দাদনের টাকা শোধ করবে এই ভাবনায় তাদের বাড়ি বাড়ি কান্না।

সুন্দরগঞ্জ আসনের এমপি ক্ষতিগ্রস্থ’ এলাকা পরিদর্শন করে বলেন, এই এলাকায় অন্তত দেড় হাজার পরিবার মাছ চাষের উপর নির্ভশীল। কিন্তু বন্যার পানির কারনে তাদের কমপক্ষে একশো কোটি টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারী ভাবে তিনি সহযোগিতা ও ব্যাংক ঋণের আশ্বাশ দেন ।

 

নিউজবাংলা/একে