সিলেট: সিলেটে শিশু রাজন হত্যা মামলায় পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির করতে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৭ সেপ্টেম্বর।
সোমবার সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম এ আদেশ দেন।
এ মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে তিনজন পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দু’জনের সম্পদ ক্রোকও হয়েছে আদালতের নির্দেশে।
গত ২৪ আগস্ট সিলেট মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক সাহেদুল করিম পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে সৌদি আরবে আটক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং একই এলাকার বাসিন্দা জাকির হোসেন পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তবে কামরুলকে এখনও দেশে ফিরিয়ে আনা যায়নি।
গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন। আসামিরা হলেন, কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম ও শামীম আলম, জাকির হোসেন পাভেল, আলী হায়দার ওরফে আলী, চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজ উদ্দিন বাদল , ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ও রুহুল আমিন। আটক ১০ জনের মধ্যে তাজ উদ্দিন বাদল ও রুহুল আমিন ছাড়া বাকি আটজন এ ঘটনায় আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
গত ৮ জুলাই সিলেটের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর ভিডিওচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হয়। এই ভিডিওচিত্র দেখেই আসামিদের সনাক্ত করে পুলিশ।