নিউজবাংলা: ৩১ আগষ্ট, সোমবার:

বগুড়া: নেশার টাকা যোগাড় করতে গিয়ে সংসারের সব খুইয়েছেন স্বামী। তবুও দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া একমাত্র সন্তানকে নিয়ে সুখের স্বপ্ন দেখেন স্ত্রী। সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নই যেন সহ্য করতে পারেন না নেশাগ্রস্ত স্বামী। খুন করেন ১১ বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের দারুগ্রাম বড় হিন্দুপাড়া গ্রামে এ লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নেশাগ্রস্ত বিধান চন্দ্র সরকার একমাত্র সন্তান দুর্জয়কে(১১) হত্যার পর পালিয়ে যাবার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। আটক বিধানকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়। দূর্জয় স্থানীয় দারুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল।

সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকের ঘটনা। মা আগমনী প্রতিদিনের মতো অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতে যান। বাড়িও ফাঁকা। এছাড়া বাইরে অঝোরে বৃষ্টি পড়ার সুযোগে এ ঘটনা ঘটান মাদকাসক্ত বাবা বিধান। বাড়ির ভেতরে সেই দা দিয়ে কুপিয়ে নিজের ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আবু তালেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘মাদকাসক্ত বিধান চন্দ্র সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রায় মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন তাকে পুলিশে দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েকদিন পরই তিনি আবার জেল থেকে বেরিয়ে এসে একই কাজ শুরু করেন।’

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ হাশমী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। এছাড়া ঘাতক বিধানও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে থানায় আনা যায়নি।

 

নিউজবাংলা/একে