বকশীগঞ্জে দশ হাজার মানুষ পানিবন্দি: বন্যাদুর্গতদের পাশে নেই উপজেলা প্রশাসন
নিউজবাংলা: ০৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার:
একে এম নুর আলম নয়ন, জামালপুর প্রতিনিধি:
টানা বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বকশীগঞ্জের দশানী ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাযায়, বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে ফের নদীর তীরবর্তী তিনটি ও অন্যান্য ইউনিয়নের চরাঞ্চলের ৩৫টি গ্রামে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দশ হাজার মানুষ। বন্যা কবলিত পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের পালিত প্রাণি সম্পদ নিয়ে পড়েছে বিপাকে। মানুষের বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট। পানি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া এসব এলাকায় রোপা আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
চরাঞ্চলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় ৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিস্তির্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ কাজের অভাবে বিপাকে পড়েছেন।
মেরুর চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধির ফলে মাইছানির চর , মাদারের চর, ভাটি কলকিহারা , উজান কলকিহারা ও বাগাডুবা গ্রামে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লেবু জানান, চর আইরমারী, পশ্চিম কামালের বার্ত্তী, শেক পাড়া , কুতুবের চর ও খাপড়া পাড়ায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফা বন্যায় এখন পর্যন্ত সরকারি ভাবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি। প্রথম দফা বন্যার ১০ মেট্রিক টন জিআর বরাদ্দ পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে বকশীগঞ্জ উপজেলায় ফের বন্যা শুরু হলেও স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকায় যাননি। এমনকি বকশীগঞ্জ ইউএনও নার্গিস পারভীনও বন্যা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন।
গতকাল শনিবার এ প্রতিবেদক ইউএনও নার্গিস পারভীনকে বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের আইরমারী গ্রামে বন্যায় নদী ভাঙন দেখা দিলেও নদী ভাঙন প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
অবিলম্বে নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা না নিলে কয়েকটি গ্রাম নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে।
নিউজবাংলা/একে