টাঙ্গাইলের ৩টি অসহায় পরিবারে ১২জন প্রতিবন্ধী! ভাতা পায় ২জন
নিউজবাংলা: ০৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার:
বিভাস কৃষ্ণ চোধরী:
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ছোট চওনা ও সকচুয়া গ্রামের পৃথক ৩টি পরিবারে ১২ জন প্রতিবন্ধী সদস্য রয়েছে। অসহায়-সম্বলহীন হওয়ায় ওই তিন পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা অসহায় জীবন যাপন করছেন।
এরই মধ্যে ২ পরিবারের ২ সদস্য প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও অন্যরা পাচ্ছেন না। ফলে নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন। জানা যায়, উপজেলার কাকড়াজান ইউনিয়নের ছোট চওনা গ্রামের হেকমত আলীর পরিবারের ছয় সদস্যই প্রতিবন্ধী। তাদের পাঁচ জনেরই চোখের আলো নেই, অন্য একজন পঙ্গু। যেন পুরো পরিবারটি অন্ধকারে ভরাট। মানুষের কাছে হাত পাতা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। প্রতিবন্ধীর ছয় জনের একজন ভাতা পায়।
পরিবারের প্রতিবন্ধী সদস্যরা হচ্ছেন-হেকমত আলী, স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, মেয়ে ফিরোজা, মেয়ের জামাই শহিদুল, শহিদুলের ছেলে সবুজ ও শরীফ । হেকমত আলী জানান, তাদের একটুকরোও জমি নেই। মানুষের বাড়ি চেয়ে-চিন্তে কোনমতে জীবন চলে। শহিদুল বলেন, আমার ও আমার স্ত্রীর চোখের আলোর প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমাদের দুটি অন্ধ ছেলের চোখের আলো ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। একই গ্রামের আবদুস ছামাদের পরিবারে ৪ সদস্যের ৩ জনই প্রতিবন্ধী। আবদুস ছামাদ, মেয়ে ছালেহা ও শিউলি সকলেই অন্ধ। ওই প্রতিবন্ধী পরিবার সরকারি কোনো ভাতা পাচ্ছেন না। এদিকে কচুয়া গ্রামের মৃত ওমর ফারুকের তিন ছেলে ইফতেখার, সোহেল ও জুয়েল শারীরিক প্রতিবন্ধী। বাবা না থাকায় তিন ছেলের দেখাশুনা করছেন মা ফজিলা বেগম। স্থানীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ থেকে একজনকে হুইল চেয়ার দেয়া হয়েছে। অপর একজন প্রতিবন্ধী ভাতা পেলেও তিন প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে মা ফজিলা বেগমের কষ্টের সীমা নেই। আরও দুটি হুইল চেয়ার ও অপর ছেলেদের ভাতার ব্যবস্থার দাবি জানান তিনি।
নিউজবাংলা/একে