নিউজবাংলা: ১৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার :

ঢাকা: মশা থেকে বাচার জন্য কত পন্থাই না আমরা ব্যবহার করি। তার পরেও মশা আমদের ঠিকই খুজে খুজে কামড় দেয়। সাথে দিয়ে যায় ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত ক্ষতিকারক ব্যধি।

 

বিশ্বের এক ক্ষতিকর পতঙ্গ মশা। এ ব্যপারে কারো দ্বিমত নেই এবং এর থেকে সবাই বাচতে চাই কিন্তু ব্যতিক্রম রাশিয়ার লোকজন।রাশিয়ায় হয়েছে উল্টো। মজার বিষয় কি জানেন, রুশিরা নাকি মশার কামড় খাওয়ার জন্য পুকুরে গিয়ে বসে থাকে। সেখানে রীতিমত ঢাক ঢোল বাজিয়ে মশা উৎসবের আয়োজন করা হয়।

সম্প্রতি তিন দিনের (১৭ জুলাই থেকে) এই মশার কামড় খাওয়ার প্রতিযোগিতা হয়ে গেল উরাল পর্বতমালার বেরেযনিকি শহরে। মশারকামড় খেতে সেখানকার একটি পুকুরে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য স্বল্পবসনা নারী।

কে কত বেশি মশার কামড় সহ্য করতে পারেন সেখানে এটাই ছিল প্রতিযোগিতা। উদ্দেশ্য মশার কামড় খাওয়া হলেও উৎসবের নামটা কিন্তু বেশ বাহারী-‘মোস্ট ডেলিশিয়াস গার্ল’ মানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় নারী। তো ‘মোস্ট ডেলিশিয়াস’ হওয়ার জন্য তাদের তেমন কিছুই করতে হয়না। কেবল সাঁতারের পোশাক পরে পুকুরে দাঁড়িয়ে থেকে আয়েশ করে মশার কামড় খেতে হয়। বিশ মিনিটের মধ্যে যেই তরুণীকে সবচেয়ে বেশি মশা কামড়াবে তিনিই হবেন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী।

২০১৩ সালে যিনি এ বিচিত্র প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছিলেন তার গায়ে একশয়ের বেশি মশা কামড়েছিল। তবে ওই সন্দরী পরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন কীনা তা অবশ্য জানা যায়নি। উৎসবের আরেকটি আকর্ষণীয় ইভেন্ট হচ্ছে মশা ধরার প্রতিযোগিতা। যে যত বেশি জীবিত মশা ধরতে পারবে, সেই হবেন বিজয়ী।

রাশিয়ার দুবছর আগে শুরু হওয়া এই মশা উৎসব ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছে। আমাদের জন্য এটি হাসির কারণ হলেও রাশিয়ার ওই অঞ্চলে ‘মশা উৎসব’ নাকি অতি স্বাভাবিক ঘটনা। কেননা সেখানে হরহামেমাই এরকম অনেক অদ্ভূত কাণ্ড ঘটে থাকে। উরাল পর্বতমালার লোকজন নাকি গরুর গোবর নিক্ষেপ নিয়েও বার্ষিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।

 

নিউজবাংলা/একে