নিউজবাংলা: ২৭আগষ্ট, বৃহস্পতিবার:

ঢাকা: তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন শুনানির জন্য আগামী রোববার হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসবে বলে জানা গেছে।

 

 

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবদনটি শুনানির জন্য আসবে।

বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মো. মনির। এর আগে গতকাল জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তির পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করেন তিনি।

গতকাল বুধবার বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এই আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। বেঞ্চে এ রিটের বিষয়ে শুনানি হতে পারে। তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের এই ধারাটি নিয়ে বরাবরই বির্তক রয়েছে। তবে সম্প্রতি সাংবাদিক প্রবীর সিকদার এই ধারার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হলে তা নতুন করে আলোচনায় আসে। বর্তমানে অবশ্য প্রবীর সিকদার জামিনে রয়েছেন।

এরআগে আজ সকালেই তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারা বাতিল চেয়ে চার সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠানে হয়েছে। ওই নোটিশটি পাঠিয়েছেন- সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব এবং তথ্য সচিবকে পাঠানো ওই নোটিশে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ও ৮৬ ধারাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানি প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ।

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক চৌদ্দ বৎসর এবং অন্যূন সাত বৎসর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

নিউজবাংলা/একে