নিউজবাংলা: ১৬ জুলাই, বৃহস্পতিবার :

ঢাকা: ১৯৯৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া মাত্র ১৯ বছর বয়সের বালক মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ম্যাচে ১১টি উইকেট লাভ করে বাংলাদেশকে ছাপিয়ে বিশ্বের কিকেটাঙ্গনে যিনি উজ্জল নক্ষত্র।

তিনি টেক্কা দিয়েছেন বিশ্ব তারকাদের। বিশের কোনো বোলার যেটা করতে পারেননি সেটাই করে দেখিয়েছেন এই সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।

কিন্তু কে জানতো এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের জয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন এই বাঁ হাতি কাটার ম্যান। মুস্তাফিজের বাবা-মা’ই তো চেয়েছিলেন ছেলে চিকিৎসক হোক। কিন্তু পড়া-লেখায় খুব একটা মন টানতোনা মুস্তাফিজের। মন পড়ে থাকতো ক্রিকেট মাঠে। আর সেখানে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন সাতক্ষীরার ক্রিকেটার।

ওডিআইতে মুস্তাফিজের অভিষেক ঘটে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে। অভিষেকেই ৫ উইকেট নিয়ে ভরতের বিপক্ষে দলের জয়ের নায়ক মুস্তাফিজ। অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার পরিচিতি তারও দুই মাস আগে থেকেই। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০তে। শহিদ আফ্রিদি ও হাফিজের উইকেট নিয়ে দলের ৭উইকেটের জয়ে বড় অবদানও তার।

সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ জিতে নেয়ায় গোটা দেশবাসী যখন ক্রিকেট আমুদে ভাসছে পাশাপাশি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মুস্তাফিজের বাবা আর ভাই। দেশবাসীর কাছে মুস্তাফিজের জন্য দোয়া চান তাঁরা।

মুস্তাফিজের বাবা আলহাজ্ব আবুল কাশেম গাজী বলেন, ‘আমার ছেলে যখন একে একে পাঁচটা উইকেট পেলো তখন আমার আনন্দ আর ধরে রাখতে পারি না। আমি চাই সে সাতক্ষীরাবাসীর গৌরব হয়ে থাকুক।’

বড় ভাই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘মুস্তাফিজ লেখা পড়ায় ততটা আগ্রহী ছিলনা। আমরা চাইছিলাম সে ডাক্তার হোক। কিন্তু ক্রিকেটকেই ভালোবাসতো সে। তাই ভাবলাম কি করা যায়। সে ক্রিকেট খেলতে চায়, তাই আমিও চেষ্টা করলাম তাকে একটু সহায়তা করতে।’

নিউজবাংলা/একে