নিউজবাং লা: ১৭ আগস্ট, সোমবার:

ঢাকা: আওয়ামী লীগ থেকে বহি:ষ্কৃত মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদের বাতিলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দীকীর দায়ের করা রিটের আদেশ বুধবার।

সে দিন এ বিষয়ে আরো শুনানি করে আদেশ দেয়া হবে বলে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে।

 

বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।

আদালতে লতিফের আইনজীবী বলেন, সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদে অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিল করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নাই। লতিফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, আজ আমরা আদালতে শুনানি করেছি। শুনানীতে বলেছি সংবিধানের ৬৪(৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদ বাতিল নির্বাচন কমিশন বাতিল করতে পারেন না। তিনি বলেন, আগামী বুধবার এ বিষয়ে আদালত আবারো শুনবেন এবং আদেশ দেবেন।

গতকাল রোববার লতিফ সিদ্দিকীর এমপি পদের বিষয়ে ইসির শুনানীকে চ্যালেঞ্চ করে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শিাখায় এ রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। রিটে নির্বাচন কমিশন, আইন সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশনেরউপসচিবকে (আইন) বিবাদী করা হয়েছে।

গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় লতিফ সিদ্দিকী হজ্জ, তাবলিগ জামায়াতসহ অন্যান্য বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এরপর প্রথমে মন্ত্রিসভা থেকেএবং পরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

লতিফ সিদ্দিকীকে দল থেকে বহিষ্কারের নয় মাস পর গত ৭ জুলাই জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়ে তা জানান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। চিঠিটি পর্যালোচনা করে স্পিকার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে তার বিষয়ে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ১৩ জুলাই চিঠি দেন।

সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিষয়ে ২ আগস্টের মধ্যে জবাব চেয়ে ১৬ জুলাই নির্বাচন কমিশন লতিফ সিদ্দিকী ও আওয়ামী লীগকে চিঠি পাঠায়। নির্ধারিত সময়ের শেষদিনে উভয়পক্ষ প্রতিনিধিদে রমাধ্যমে তাদের জবাব দেয় ইসিতে। পরে আওয়ামী লীগ এবং বহিষ্কার হওয়া নেতার জবাবপর্যালোচনা করে কমিশন আগামী ২৩ আগস্ট তাদের উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এ অবস্থায় ইসির শুনানির এখতিয়ারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের হল।

নিউজবাংলা/একে