নিউজবাং লা: ১৯আগস্ট, বুধবার:

মিজান বাবু, নগরকান্দা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:

“প্রতি মন পাটের দাম ১৫’শ থেকে ১৭’শ টাকা। পাট বিক্রি করে খরচের টাকাই উঠেনা। এখন ব্যাংক লোন দিবো কি ভাবে। পাট বিক্রির টাকায় দেনাই দিতে পারিনা, সংসার চালানোর টাকা পাবো কোথায়।”

এমন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা হাটে মঙ্গলবারে পাট বিক্রি করতে আসা প্রায় সকল কৃষকই। সবার একটাই অভিযোগ, কৃষকরা মরে যাচ্ছে- যেনো দেখার কেউ নেই।

নগরকান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার আশুতোষ কুমার বিশ্বাস জানান, এ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় এ বছর ১০ হাজার ৫’শ ৩৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ মৌসুমে ২৩ হাজার ১’শ ৭৭ মেট্রিক টন পাট উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এলাকার পাট চাষিরা জানান, ১ একর জমিতে পাট চাষ করতে সর্বমোট খরচ হয় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা এবং পাট পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মন। বর্তমানে বাজারে প্রতি মন পাট বিক্রি হচ্ছে, ১৫’শ থেকে ১৭’শ টাকা দরে। এর ফলে পাট বিক্রি করে এখন খরচের টাকাই উঠছেনা। এর পর আছে ব্যাংক লোনের দায় এবং জমি লিজ নেয়ার ব্যয়। সব মিলিয়ে মোটা অংকের লোকসান গুনতে হচ্ছে হতভাগা কৃষকদের।

পাট মৌসুমের শুরুতে পাটের দাম কম হওয়া সত্যেও দেনা পরিশোধ করার জন্য অনেকটা বাধ্য হয়েই কৃষকরা এখন পাট বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ সুযোগে মুনাফা লুটে নিচ্ছেন মজুদদারেরা। কৃষকরা মনে করেন, পাট গুলো যদি এখন বিক্রি নাকরে, পরে কোন সুবিধাজনক সময়ে বিক্রি করা যেতো তাহলে মজুদদাররা মুনাফা লুটার সুযোগ পেতো না।

সরকার যত দ্রত সম্ভব কৃষকদের বাঁচাতে যথাযত ব্যবস্থা নিবেন। নগরকান্দা উপজেলা কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় এলাকার ৮০ ভাগ মানুষের জীবন জীবিকা ও ভাগ্য উন্নয়নে বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্ব দিবেন, ব্যবস্থা নিবেন মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন নগরকান্দার কৃষকেরা।

নিউজবাংলা/একে