নিউজবাংলা: ৩০ আগষ্ট, রবিবার:

তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বন্যার পানি কিছুটা হ্রাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যমুনা নদীর তীব্র স্রোতে নদী ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর গ্রামে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি, বসতবাড়িসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত পাঁচ দিনে এই গ্রামের সাড়ে ৪শ’ পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
জেলায় অন্যান্য নদীর পানি কমতে শুরু করলেও করতোয়া নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ২৪ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে জেলার বন্যা কবলিত ৭টি উপজেলার ৫৮টি ইউনিয়নের ৩শ’ ৩০টি গ্রামের ২ লাখ ১৮ হাজার ৮শ’ মানুষ এখনও দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
বিশেষ করে বিশুদ্ধ পানি, টয়লেটের সমস্যা এবং গো-খাদ্য সংকট এখনও বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগের কারণ হয়ে রয়েছে। বন্যার পানিতে পুকুর উসলে যাওয়ায় মাছ চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। পুকুরের অধিকাংশ মাছ পুকুর থেকে বেরিয়ে গেছে।
এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, আকস্মিক এই বন্যায় এ পর্যন্ত পানি নিমজ্জিত হওয়ায় ৩৮ হাজার ৬শ’ ৮৬ হেক্টর জমির আমন বীজতলা, আউশ ও আমন ধান এবং সবজি ক্ষেত, পানের বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর জানায়, বন্যায় এ পর্যন্ত ২৭ কি. মি. কাঁচা সড়ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪ কি. মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত এবং ২শ’ মিটার বাঁধ ইতোমধ্যে নদীর পানির তোড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ২শ’ ১৮ মে. টন চাল ও ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিউজবাংলা/একে