নিউজবাংলা: ০১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার:

এম এ আই সজিব,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রসাসনিক অনুমোদনের ৭ মাস পরও কোনো অগ্রগতি নেই হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজের। নিয়োগ করা হয়নি প্রকল্প পরিচালকসহ কোন লোকবল। নেই কোনো যন্ত্রপাতি। অস্থায়ী ক্যাম্পাসও প্রস্তুত নেই।

ফলে ১ মাস পর অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরিক্ষায় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে কিনা তা অনিশ্চিত। এদিকে অর্থের অভাবে এক মাস যাবৎ বন্ধ রয়েছে হবিগঞ্জ জেলা সদও আধুনিক হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের নির্মাণ কাজ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের নভেম্বও হবিগঞ্জ শহরের নিউ ফিল্ডে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত বিশাল সভাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডঃ মোঃ আবু জাহির জনগণের পক্ষে মেডকেল কলেজ ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ব্যক্তব্যে উভয় দাবী মেনে নেন। প্রধান মন্ত্রীর ঘোষণা শুনে উল্লাশে ফেটে পড়েন উপস্থিত জনগণ। পরে ২০১৪ সলের ১২ জানুয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা ২৪/(১০) স্মারকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তিও প্রশাসনিক অনুমতি দেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর এত দ্রুত অনুমোদন পেয়ে হবিগঞ্জে সর্বত্র আনন্দ উল্লাশ বয়ে যায়। প্রসাশনিক অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসক এর উদ্যোগে সর্ব-স্থরের কর্মকর্তা ও জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভায় অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয় হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালকে। পাশাপাশি অস্থায়ী হোস্টেলের জন্য নির্ধারণ করা হয় পুরাতন হাসপাতালের অব্যহৃত জায়গা। জেলা প্রশাসন উন্নয়ন পরিকল্পনা (ডিপিপি) প্রণয়নের জন্যও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।কিছুদিন পরই মন্ত্রনালয় থেকে একজন যুগ্ম-সচিবের নেতৃত্বে ৩ সদসেৎ্রর প্রতিনিধি দল হবিগঞ্জে এসে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেনৎৎ্গওে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাছিম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জে মেডিকেল কলেজ চালুর ঘোষনা দেন। পরিকল্পনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও জনবল এর তথ্য পাঠানো হয়।প্রায় শত কোটি টাকার পরিকল্পনার বাহিওে জনবল হিসেবে দেখঅনো হয় অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ প্রয়োজন ২৮৩ জন। পরিচালকসহ প্রশাসণিক ক্ষেত্রে ৯২৫ জন প্রয়োজন। অতচ একন পর্যন্ত কোনো টাকাই বরাদ্ধ আসে নি। লোকবলও নিয়োগ হয় নি। এদিকে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা জন্য তারিখ দেওয়া হয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর।
উল্লেখ্য যে, সেখানে যে মেডিকেল কলেজের তালিকা দেয়া হয় তাতে হবিগঞ্জের কলেজের নাম নেই। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পরেছে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি পরিক্ষার বিষয়টি। এছাড়া জানুয়ারীতে ক্লাস শুরু হওয়ার কথঅ থাকলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সরজ্ঞামাদী এবং লোকবল নিয়োগের মত কাজ শুরু না হওয়ায় আশার আলো দেখছেন না হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীর। এরই প্রেক্ষিতে গত ১১ আগষ্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা পেতে মহাপরিচালক বরাবওে ১ পত্র প্রেরণ করেন সিভিল সার্জন ডাঃ নাছির উদ্দিন ভূইয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন উত্তর আসেনি।
হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন নাছির উদ্দিন ভূইয়া জানান, সব কিছু প্রক্রিয়াধীন আছে। নির্ধারিত সময় কাজ হবে বলে আশাবাদী।
জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রসাশক মোঃ আব্দুর রউফ জানান, আমরা চিঠি পাওয়ার পরই অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ৩টি নির্ধারণ করে প্রস্তাব পেরণ করেছি।এখন মন্ত্রনালয় বলতে পারবে কার্জক্রম কবে শুরু হবে।
স্বস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রনালয়ের পরিচালক ডাঃ আব্দুল হান্ন জানান, এ ব্যাপাওে সচিব বলতে পারবেন আমি তেমন জানিনা। তবে প্রস্তুতির অনেক বাকী রয়েছে।
যুগ্ম সচিব শিক্ষা সালমা আক্তার বলেন,বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারব। এখন পর্যন্ত কিছুই হয়নি। বিষয়টি উপর লেবেলে রয়ে গেছে। ফাইল দেখে বলতে পারব।
এদিকে হবিগঞ্জ সদও আধুনিক হাসপাতালকে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ছিল ২০১৪ সালের শুরুর দিকে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩য় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে। এই কাজের তহবিল না থাকায় জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পর থেকেই কাজ বন্ধ রয়েছে। আর কোনো খবরও নেই। এই ভবনটি চালু হলে মেডিকেল কলেজের জন্য ব্যবহার করার পরিকল্পনা ছিল স্বাস্থ্য প্রশাসনের।
উল্লেখ ভবনটির নির্মান কারী সংস্থ্যা গণপূর্ত অধিদপ্তরের।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী এম এ মুনিম এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এই কাজের অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় ঠিকাদও কাজ বন্ধ রেখেছেন। বরাদ্ধ আসলেই আবার কাজ শুরু হবে। তবে কখন আসবে এই বিষয় জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

নিউজবাংলা/একে