হবিগঞ্জে কলেজ ছাত্রীর সাথে শিক্ষকের প্রেম, বিয়ের পর যৌতুক মামলা
নিউজবাংলা: ১০ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার:
এম এ আই সজিব,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের সর্বোচ্ছ বিদ্যাপীঠ সরকারী বৃন্দাবন কলেজের শিক্ষক সামছুল হক কতৃৃক ছাত্রীর সাথে প্রেম করে বিয়ে এবং বিয়ের পর যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন।
অতঃপর স্ত্রীর যৌতুক মামলা। এই ঘটনায় হবিগঞ্জের সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
অভিযোগে জানা যায়, হবিগঞ্জ সরকারী বৃন্দাবন কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক বি-বাড়ীয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর গ্রামের আবু তাহের মিয়ার ছেলে সামছুল হক হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় থেকে প্রাইভেট টিউশনি করতেন। একই জেলা ও উপজেলার শিমরাইল গ্রামের সরকারী চাকুরীজীবি মোর্শেদ মোল্ল¬ার মেয়ে স্বর্ণা আক্তার সরকারী বৃন্দাবন কলেজে অধ্যয়নরত। স্বর্ণার পিতা হবিগঞ্জে ৭ বছর যাবৎ চাকুরী করায় সে এখানেই স্কুল ও কলেজে অধ্যয়ন করে আসছে। সামছুল হক এর কাছে প্রাইভেট পড়া ও একই এলাকার হওয়ার সুবাধে স্বর্ণার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
সামছুল হক গত ২৫ আগস্ট এ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে কাজী নাজমুল হকের কাছে গিয়ে বিয়ে করেন। বিয়েতে দেন মোহর ধার্য্য করা হয় ৫ লক্ষ টাকা। বিয়ের বিষয়টি স্বর্ণার পরিবার প্রথমে না মানলেও পরে মেনে নেয়। স্বর্ণা ও সামছুল হক রাজনগরে বসবাস শুরু করলেও সামছুল হক স্ত্রীর সাথে খারাপ আচরন শুরু করে। সামছুল হক এক পর্যায়ে সে ঋণগ্রস্থ বলে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে।
যৌতুকের টাকা না দেয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর স্বর্ণাকে মারধোর করে সামছুল হক। পরে স্বর্ণা তার পিতার বাসায় চলে যায়।
এ ব্যাপারে সামছুল হককে আসামী করে মামলা দায়ের করলে বুধবার হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে এফাইআর করে ওসি তদন্ত বিশ্বজিৎ দেবকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
এদিকে বুধবার প্রভাষক সামছুল হক থানায় পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন তাকে জোর পূর্বক বিবাহে বাধ্য করা হয়েছে বলে।
স্বর্ণা আক্তার সামছুল হকের প্রতারনা ও নির্যাতনের বিচার দাবী করেন। সে বলে, সামছুল হক তার জীবন দংশ করে দিয়েছে। প্রভাষক সামছুল হকের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার বক্ত নেয়া সম্ভব হয়নি।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন জানান, উভয় মামলা পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তে প্রকৃত অপরাধ প্রমাণ হবে।
এদিকে এই ঘটনায় সরকারী বৃন্দাবন কলেজসহ সর্বত্র আলোচনা এবং সমালোচনার ঝড় বইছে।
নিউজবাংলা/একে