নিউজবাংলা- ১১সেপ্টেম্বর শুক্রবার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলার সীমান্তবর্তী ইউনিয়ন গোসাইপুর, শরীফপুর ও লালপুর এলাকায় ব্যাপকহারে বেড়ে গেছে গরু চুরি। গরু চুরির আতঙ্কে খামারি ও ব্যবসায়ীরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।

গরু চুরি ঠেকাতে রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীরা জানায়, কোরবানির ঈদের জন্য জেলার হাটগুলোতে পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় গরু আমদানি না হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবারের গরুর দাম অনেক বেশি। ঈদের বাজারে বেশি দামে গরু বিক্রির আশায় নবীনগর ও আশুগঞ্জের গরু চোরেরা এখন সক্রিয়। বিশেষ করে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী শরীফপুর ও লালপুর থেকে প্রতিদিন চুরি হচ্ছে গরু। দুই ইউনিয়ন দুই উপজেলার একপাশে হওয়ায় চোররা সহজেই গরু চুরি করে মেঘনা নদী পার হয়ে নৌকা দিয়ে চলে যায়। ফলে আতঙ্কিত গরু ব্যবসায়ী আর গরু খামারিরা। তাই গ্রামে গ্রামে রাতে পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গরু পালনকারী শরীফপুর এলাকার দুলাল মিয়া জানান, গত দুই মাস যাবত গরু চুরি বেড়ে গিয়েছে। আগে প্রশাসনের তৎপরতার কারণে কিছুটা চুরি বন্ধ হলেও বর্তমানে তা আবার বেড়ে যাওয়ায় রাতে ঘুমাতে পারছেন খামারি ও ব্যবসায়ী। কারণ কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু চোরেরা এখন বেশ সক্রিয়।

নবীনগরের গোসাইপুর এলাকার কাউসার মিয়া বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকা থেকে গরু চুরি হচ্ছে। চোরদের কারণে অনেকেই এখন গরু পালন করা ছেড়ে দিচ্ছে। কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য রাখা গরু কখন যে চুরি হয় জানি না।’
আশুগঞ্জের শরিফপুর এলাকার চেয়ারম্যান সাইয় উদ্দিন চৌধূরী বাংলামেইলকে বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে গরু চুরি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এখন প্রতিরাতেই বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্রাম পুলিশ দিয়ে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
তবে, এখন গরু চুরি অনেকটাই কমে গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন জানান, আশুগঞ্জে দুই ইউনিয়ন ও নবীনগরের একটি ইউনিয়নে গরু চুরি বন্ধ করতে রাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশপাশি তালিকাভুক্ত গরু চোরদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঈদকে সামনে রেখে ওই এলাকাগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের ব্যাপারে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

নিউজবাংলা?একে