নিউজবাংলা- ১৬ সেপ্টেম্বর, বুধবার:
ঢাকা: লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান তাকে নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম সাত্তার, উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি সমর্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচনকারী তাবিথ এম আউয়াল এবং গৃহকর্মী ফাতেমা তার সফর সঙ্গী হিসেবে আছেন।
চেয়ারপারসনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান বাংলামেইলকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যান্য বার বিমানবন্দরের দলের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদায় জানালেও এবার নিরাপত্তাজনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি।
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল। গত আগস্টে লন্ডন যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও নানা জটিলতার কারণে সফর বাতিল হয়ে যায়। তবে এবারের সফরের বিষয়টি গত রোববার দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে খালেদা জিয়া নিজেই অবহিত করেন। পরে ওই দিনই বিএনটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এক সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীকে জানান।
এদিকে, এবার দীর্ঘ ৪ বছর পর লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান, ছেলের বউ জোবায়দা রহমান, নাতনী জাইমা রহমানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া। সফর কালে খালেদার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গেও লন্ডনে দেখা হবে খালেদার। এরইমধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দুই মেয়ে নিয়ে লন্ডন পৌঁছেছেন শর্মিলা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৫/১৬ দিনের এ সফরে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দল পুনর্গঠন, পরবর্তী আন্দোলন, আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া, ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করবেন তিনি। এছাড়া, তিনি চোখের চিকিৎসাও করাবেন।
সফর শেষে আগামী ২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার কথা রয়েছে বলে জানান শায়রুল কবির খান।
এদিকে, খালেদা জিয়া ঢাকা ত্যাগের পরপরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড দেখভাল করার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।’