নিউজবাংলা – ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার:
ঢাকা: কক্সবাজার: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পুরোদমে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। রাজনৈতিক অঙ্গন স্থিতিশীল থাকায় এবং বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ায় শনিবার থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমণ ঘটেছে কক্সবাজারে।

 

এবার স্থানীয় এবং বাইরের মিলিয়ে প্রায় ২ লাখ পর্যটকের আগমণ ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশি পর্যটকের পাশাপাশি এবার ভারত ও মিয়ানমারের পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা। এতে করে গত কয়েক বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন পর্যটন খাতে বিনিয়োগকারীরা।

সবমিলিয়ে সাগরকন্যা কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আগমণে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই শিল্পের সাথে জড়িতরা।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বর্ষা মৌসুমসহ নানা কারণে পর্যটকদের কাছে টানতে না পারায় এতদিন যে ব্যবসায়ীরা দারুণ হতাশায় নিমজ্জিত ছিলেন, তারা এখন আশার আলো দেখছেন।

আশানুরুপ পর্যটকের দেখা পাওয়ায় লোকসান পুষিয়ে লাভের মুখ দেখছে এখানকার ডিম, চা, ঝাল মুড়ি বিক্রেতা থেকে শুরু করে রিক্সা, টমটম, সিএনজি, মাইক্রোবাস, জিপ চালক, ঝিনুক-শামুক বিক্রেতা, খাওয়ার হোটেল ব্যবসায়ী এবং হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজ মালিকরা।

কক্সবাজার বিচ পার্ক ও ঝিনুক মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান জানান, এবার আশানুরুপ পর্যটকের আগমণ ঘটেছে। ঝিনুক ব্যবসায়ীরা যেসব পসরা সাজিয়েছিল তা বিক্রি হচ্ছে। এতে করে আগের সব লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখছেন তারা। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়; পর্যটকদের আগমণে মুখরিত হয়ে উঠেছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রাখাইন পল্লী, রামুর দৃষ্টিনন্দন বৌদ্ধ বিহার, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্ক, ইনানী পাথুরে সৈকত, হিমছড়ির অপরূপ ঝর্ণা, মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগরসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট।

বিশেষ করে ঈদের পরের দিন থেকে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়েছে এসব পর্যটন স্পট।

পড়ন্ত বিকালে সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত অবলোকন, নারী-পুরুষসহ সব বয়সের শিশু-কিশোর ও তরুণ-তরুণীর উচ্ছ্বাস রাঙিয়ে তুলেছে সাগরকন্যা কক্সবাজারকে।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, এবার কোরবানির ঈদের পর থেকে প্রায় ২ লাখ পর্যটকের আগমণ ঘটেছে।

তিনি বলেন, ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৩’শর মত হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজের সব রুম বুকিং রয়েছে আগামী এক সপ্তাহ পর্যন্ত।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন-ঈদের আগে এবং পরে পর্যটকদের আগমণকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জেলা পুলিশের পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ সদস্যরাও এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন বলে জানান তিনি। –

নিউজবাংলা/একে