নিউজবাংলা – ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার:
ঢাকা: আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে এমনকি শহরেও কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায় । বিয়ের পর আত্মীয়দের ইচ্ছার জন্য অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেকে গর্ভধারণ করেন ।

আমাদের দেশে শতকরা ৫৭ ভাগ মেয়ে উনিশের আগেই গর্ভধারণ করেন । এই কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা ও গর্ভধারনের জন্য মাকে , সন্তানকে , পরিবার তথা সমাজকে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।
১ . কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য প্রধান যে সমস্যা তা হলো বেশিরভাগ মেয়ে কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার জন্য লেখাপড়া বন্ধ করে দেয় বা পড়ে চালিয়ে যেতে চায় না । এর ফলে অনেক স্বপ্নই অপূর্ণ থেকে যায় ।
৩. তারা গর্ভবতী হওয়ার ব্যাপারটা কারো সাথে বলতে লজ্জা পায় এবং ঠিকমত খাওয়া-দাওয়া করেনা বা ডাক্তারের কাছে ঠিকমত চেকআপে যায় না । যার ফলশ্রুতিতে যেসব সমস্যা হতে পারে তা হলোঃ
-মায়ের রক্তশূণ্যতা
-একলামশিয়া, প্রি একলামশিয়া
-কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়া বা সময়ের আগেই শিশু ভূমিষ্ট হওয়া ।
-জন্মগত ত্রুটিযুক্ত শিশুর জন্ম নেয়া ।
-অপূর্ণ শরীরে গর্ভধারণের জন্য পেলভিস ও হাড়ের গঠন ঠিকমত হয়না ফলে দেরীতে প্রসব হয় এবং সিজারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
তাই আসুন আমরা আমাদের মেয়েদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করি , একটু দেরিতে অন্তত ২২ বা ২৪ এর পর বিয়ে দেই এবং একটা সুন্দর ভবিষ্যত প্রজন্ম গড়ি ।
সচেতনেতায় – আতাউর রহমান , স্বেচ্ছা সংবাদকর্মী , জাগ্রত বাঙ্গালী ।

নিউজবাংলা/একে