নিউজবাংলা: ১৭ আগস্ট, সোমবার:

ঢাকা: বৈজ্ঞানিকরা বলেন আমাদের ঠোঁটে অন্য একজনের ঠোঁট ছুঁলে পরস্পরকে অনেকটা কাছাকাছি এনে দিতে পারে। ঠোঁটের কাছাকাছি আসলে নাকও স্বাভাবিকভাবেই কাছা চলে আসে পরষ্পরের।

তাতে উভয়ের গন্ধের, স্বাদকোরকের এবং ঘনিষ্ঠ স্পর্শের আস্বাদ পাই আমরা। আর সেই আস্বাদের সিগনাল পৌঁছে যায় আমাদের মস্তিষ্কে। তার থেকে আমরা নিজেদের অজান্তেই চিনে নিতে পারি উল্টো দিকের মানুষটিকে। এমনকী অবচেতনে আমরা অন্য মানুষটির উঘঅ সম্পর্কেও কিছু সূত্র পাই।

 

নিউ ইয়র্কের অ্যালবানির স্টেট ইউনিভার্সিটির মনস্তত্ত্ববিদরা গবেষণা করে দেখেছেন ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৬৬ শতাংশ মহিলা নিজেদের ঘনিষ্ঠতায় চুম্বনেই ইতি টেনেছেন, কারণ তাদের পরস্পরের চুম্বন ভালো লাগে নি। চুম্বন প্রকৃতিক ভাবেই উপযুক্ত জেনেটিক পার্টনারকে আমাদের চিনতে সাহায্য করে।

সুইস জীববিজ্ঞানী ক্লোজ ওয়েডেকিন্ড গবেষণা করে দেখেছেন অধিকাংশ মহিলা সেইসব পুরুষদের বেশি পছন্দ করেন যাঁদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক একাধিক জেনেটিক কোড রয়েছে। বিজ্ঞানীরা আরও বলেছেন, কোনও যুগল যদি পৃথক রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করেন তাহলে তাদের সন্তানের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা ভালো হয়। চুম্বনের সময় কোনও যুগল মাতৃত্ব অথবা পিতৃত্ব গ্রহণের কথা ভাবেন না।

তবে চুম্বনের সময় আমাদের অজান্তেই পরস্পরের কাছে তথ্য পৌঁছে যায় যে এই ঘনিষ্ঠতাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে কি না। আমাদের ঠোঁট অনেক শিরা উপশিরা এসে শেষ হয়। ফলে এই অংশ অনেক বেশি স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। ফলে এই অংশে কোনও সামান্য স্পর্শও আমাদের মস্তিষ্কে একটি অনুভূতির বার্তা পাঠায়। মস্তিষ্ক সেই বার্তা অনুযায়ী নিজেই ঠিক করে এরপরে কি করা উচিৎ।

নিউজবাংলা/একে