নিউজবাংলা: ১৭ আগস্ট, সোমবার:

 

মিজান বাবু, নগরকান্দা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি:

ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন পশুর মাংস। সরকারের নিয়ম-নীতি বা বিধি-বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ও রাস্তার মোড়ে বেআইনি ভাবে জবাই করা হচ্ছে রুগ্ন গরু-ছাগল।

আর এসব রুগ্ন গরু-ছাগলের মাংস খেয়ে মানুষ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে প্রকাশ্যে বেআইনি ভাবে এসব বিষ বিক্রি করা হলেও সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে অপরাধিরা পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার মোড়ের ১২ থেকে ১৫টি স্থানে বানিজ্যিক ভাবে গরু-ছাগলের মাংস বিক্রি করা হয়। তবে বাজারের এ মাংস স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর তা কেউই জানেনা। পশু জবাই ও বিক্রির বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট নিয়োম-কানুন থাকলেও আইনের যথাযত প্রয়োগ না থাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়িরা রুগ্ন গরু-ছাগল জবাই করে এর মাংস বাজারে বিক্রি করছে অহরহ। এলাকাবাসি অজ্ঞতাবসত অথবা বাধ্য হয়ে এসব মাংস খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছে বিভিন্ন জাটিল রোগে।

পশু জবাই ও মাংস বিক্রির আইনে বলা হয়েছে, “কোন গরু-ছাগল জবাই দেয়ার স্থান স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব হতে হবে। এ জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোতিপত্র থাকতে হবে। যে গরু বা ছাগলটি জবাই দেয়া হবে, সে পশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোন ভেটেরিনারি সার্জন এ ব্যাপারে পশুটি স্বাস্থ্যবান এমন সার্টিফিকেট দিলেই তবে সে গরু-ছাগল জবাই করে মাংস বাজারে বিক্রি করা যাবে।” কিন্তু কোথাও এ বিধান মানতে দেখা যাচ্ছেনা। আইন না মানলে কঠিন শাস্তির বিধান থাকলেও, অপরাধিরা সাস্তি না পাওয়ায় নগরকান্দায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে রুগ্ন গরু-ছাগলের মাংস।

হতাশা প্রকাশ করে এলাকার সচেতন ক্রেতারা এ বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে দায়ি করে জানান, অসৎ ব্যবসায়িরা অধিক লাভের লোভে রুগ্ন ও মৃতপ্রায় পশু জবাই করে অস্বাস্থ্যকর মাংস বাজারে বিক্রি করলেও যেন দেখার নেই।

এ ব্যাপারে নগরকান্দা পৌর সভা এলাকার বাজারের মাংস ব্যবসায়ি মান্দার হোসেন বলেন, আমরা পৌর সভা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ও নিয়োম যথাযত মেনেই পশু জবাই ও মাংস বিক্রি করছি। তারা নিয়োমিত দেখভাল করেন। তবে পৌর সভা এলাকার বাইরে কি ভাবে বিক্রি করা হচ্ছে আমাদের জানা নেই।

নগরকান্দা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও ভেটেরিনারি সার্জন মোঃ আজিজুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন, “নগরকান্দা ও সালথা উপজেলার প্রাণী সম্পদের স্বাস্থ্য সেবায় মাত্র একজন ডাক্তার থাকায় সকলের দোড় গোড়ায় সেবা পৌছানো সম্ভব হয়না। হয়তো আমাদের জনবলের অভাবের সুযোগ নিয়ে অসাধু ব্যবসায়িরা ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়াই গরু ছাগল জবাই ও বিক্রি করছে। তবে ডাক্তারী পরীক্ষা ছাড়া পশু জবাই ও বিক্রি বেআইনী। আর রুগ্ন গরু ছাগল এর মাংস খেলে মানুষের মারাত্বক রোগ হতে পারে।”

নিউজবাংলা/একে