নিউজবাং লা: ১৯আগস্ট, বুধবার:

কুষ্টিয়া: জেলায় শোক দিবেসের র‌্যালিতে যুবলীগকর্মী সবুজ হত্যা ও জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যা মামলার আসামি এবং আওয়ামী লীগ কর্মী জাকির হোসেন (৩৫) বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সদর উপজেলার জগতি বিআইডিসি রেলবাজারের পাশের একটি বাগানে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।এর আগে মঙ্গলবার মাগুরা ও রাজধানীর হাজারিবাগে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান দুই নেতা নিহত হন।গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের মধ্যে খুনোখুনির ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তা কঠোর হস্তে দমন করা নির্দেশ দেন।

পুলিশ দাবি করছে, এ ঘটনায় তাদের পাঁচ সদস্য আহত হয়েছে। এ সময় একটি দেশী বন্দুক, দুটি ধারালো হাসুয়া ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাব্বির উল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিআইডিসি বাজারের পাশে একটি বাগানে অভিযান চালালে সন্ত্রাসীরা পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। আধা ঘণ্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় জাকির হোসেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জাকিরের গুলিবিদ্ধ লাশ ও অস্ত্র উদ্ধার করে।

ওই বন্দুকযুদ্ধে পুলিশ সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, কনক রেজা, সরোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান ও সুজন আহত হয়েছেন। আহতরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সাব্বির আরও জানান, নিহত জাকির যুবলীগ কর্মী সবুজ হত্যা মামলা ছাড়াও জাসদ নেতা পাঞ্জের হত্যা মামলার আসামী। সে সন্ত্রাসী দুলাল বাহিনীর সেকেন্ড ইন-কমান্ড ও অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।

নিহত জাকির মিরপুর উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের রাজ্জাক ড্রাইভারের ছেলে। জাকিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

নিউজবাংলা/একে