নিউজবাংলা: ৩০ আগষ্ট, রবিবার:
কুমিল্লা: চলতি মৌসুমে কুমিল্লায় গোমতীর চরে আগাম সবজি চাষে ব্যাপক লাভবান হয়েছেন কৃষকরা। জেলার কয়েকটি উপজেলায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়, এর মধ্যে মুলা অন্যতম। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
সাধারণত শীতকালে মুলার চাষাবাদ বেশি হয়ে থাকে। কিন্তু কুমিল্লা জেলার বুড়িচং, আদর্শ সদর এবং মুরাদনগরসহ কয়েকটি উপজেলায় বিশেষ করে গোমতীর চরে এবার বর্ষা ও শরৎকালে মুলার ব্যাপক চাষাবাদ করা হয়েছে।
সব থেকে বেশি মুলা আবাদ হয়েছে জেলার বুড়িচং উপজেলায়। এ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীর চরেই মূলত আগাম সবজি চাষ করা হয়েছে। আগাম চাষ করায় বাজারে এ মুলার চাহিদাও প্রচুর। পাশাপাশি দামের দিক থেকেও লাভবান তারা। ক্ষেত থেকে মুলা উত্তোলন করে তা এখন রীতিমতো বাজারজাত করছেন মুলা চাষীরা। বেপক চাহিদা থাকায় পাইকাররা ক্ষেত থেকেই মুলা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা মুলা উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সেই মুলা পাইকারী বিক্রি করছেন ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। তাই কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি। বর্তমানে চাষ করা মুলাগুলো বিক্রি হয়ে গেলেই সেই জমিতে আবারও দু’দফা মুলা চাষ করা হবে।
উন্নত বীজ, পরিমিত সার ব্যবহার ও অনুকূল আবহাওয়া পাশাপাশি কৃষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার কারণেই মুলার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
গোমতী পাড়ের চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের মুলার বীজ রোপন করেছেন। তাই মুলার আকার এবং গঠন সকল দিক থেকেই উন্নত। তাই বাজারে দামও তুলনামূলক বেশি। বিশেষ করে এবার সাদা জাতের মুলার ফলন ভালো হয়েছে।
এদিকে কোনো কোনো জমিতে মুলা পাতায় ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ ও রোগ দেখা দিয়েছে। পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পরিমিত সার প্রয়োগের পরামর্শ দিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আছাদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘চাষিদের আসলে চাষের ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্টের সমস্যা থাকে, তারা ঘাষ মারার বিষ ব্যবহার করে থাকেন, বেশি সারও ব্যবহার করে থাকেন। এতে ফসলের ক্ষতিই হয়ে থাকে।’
উপ-পরিচালক মো. আছাদুল্লাহ আরো বলেন, ‘যেখানে এ মুলা চষের উপযোগিতা আছে, আগামীতে সেসব জমিতে মুলা চাষ করা জন্য অন্য কৃষকদেরও উদ্বুদ্ধ করা হবে। যেন এটি চাষের মাধ্যমে চাষিরা আরো লাভবান হতে পারে। এ জন্য মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও সুষ্ঠু নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।’

