নিউজবাংলা: ০১ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার:

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুর: টানা বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফরিদপুরের মরিচ চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। বন্যার পানিতে জেলার সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৮০ ভাগ তলিয়ে গেছে। দুই উপজেলার প্রায় ৭শ’ হেক্টর ক্ষেতের মরিচ গাছ মরে গেছে। ফলে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মধুখালী উপজেলার কাটাখালী, মেগচামী, খালকুলা, বাগাট, কোরকদি, চানপুর গ্রামের বেশিরভাগ কৃষি জমিতেই মরিচ আবাদ করা হয়। এ সকল এলাকায় জিয়া, সৈনিক, যমুনা ও স্থানীয় খালকুলা জাতের মরিচের চাষ বেশি হয়ে থাকে। এই উপজেলার চাষিদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বনই মরিচ চাষ। এ বছর ভালো ফলন হলেও বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি ক্ষেতে প্রবেশ করার কারণে কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

মরিচের জন্য খ্যাত ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা। এ উপজেলা থেকে প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন স্থানে মরিচ নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু দেশেই নয়, মধ্যপ্রাচ্যেও এই মরিচের সুখ্যাতি রয়েছে।

মধুখালীর কোরকদি এলাকার মরিচ চাষি হাফিজার মুন্সি, মোতালেব শেখ, হরিপদ রায়সহ আরও অনেকেই জানান, আমাদের এলাকাতে এই মৌসুমের প্রধান ফসলই মরিচ। আর এই মরিচ চাষের ওপর নির্ভর করেই আমাদের সংসার চলে। কিন্তু বৃষ্টির পানি ক্ষেতে প্রবেশ করায় এখন গাছগুলো মরে গেছে। কিভাবে আমরা সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না ।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আবদুর রউফ জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদ হয়েছে। আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৯৫৫ হেক্টর। তিনি বলেন, জেলার মধ্যে মধুখালী, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলায় মরিচের আবাদ বেশি হয়। কিন্তু এবার অতি বৃষ্টি আর নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মরিচ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

কোরকদি ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মুকুল হোসেন বলেন, আমার ইউনিয়নের চাষিরা মরিচের ওপর বেশি নির্ভর। কিন্তু পানির কারণে এই ইউনিয়নের ৭০ ভাগ মরিচ গাছ মারা গেছে। এতে কৃষকের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চাষিদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার অনুরোধ জানান।

 

নিউজবাংলা/একে