নিউজবাংলা- ১১সেপ্টেম্বর শুক্রবার:
ঢাকা: গত ৭ সেপ্টেম্বর ২১ লাখ চাকরিজীবীর বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে বিএনপির সমর্থন আছে। তবে এতে নিত্যপণ্যের বাজারে সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং মর্যাদার অবনমনে শিক্ষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সম্প্রতি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত অষ্টম বেতন কাঠামো নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করা হয়ে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাজারের বাস্তবতায় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের দল-বিএনপি সমর্থন করে। সরকারি কর্মচারীদের বাজার উপযোগী বেতন-ভাতার নিশ্চয়তা থাকা উচিৎ- তাতে মেধাবীদের সরকারি চাকরির প্রতি আগ্রহী করে তুলবে।
কিন্তু মাত্র ২১ লাখ সরকারি চাকরিজীবীর বেতন-ভাতা বৃদ্ধির অনুমোদনের পর বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়বে, ঘরভাড়া বাড়বে, বাসভাড়া-রিকশা ভাড়া সহ সবকিছুরই ব্যয় বাড়বে-অথচ এ বৃদ্ধির কোন যুক্তি নেই। বেসরকারি খাতে প্রায় ৫ কোটি মানুষ সংশ্লিষ্ট। তাদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের হাতে না থাকলেও বেসরকারি খাতের কর্মজীবীরা বাজারের উত্তাপ, সবকিছু মূল্য বৃদ্ধির চাপ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারবেন না।
বিএনপির অভিযোগ, ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে সর্বজন বিশ্ববিদ্যালয় বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উত্থাপিত দাবি-দাওয়ার কোনো প্রতিফলন ঘটেনি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রতিবেশি দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ হয়েছে সরকারের অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন কিন্তু ১৯৭২ সালের তুলনায় প্রকৃত আয় হয়ে গেছে তিন ভাগের এক ভাগ। আমাদের দল-বিএনপি বেতনভাতা ও মর্যাদার প্রশ্নে শিক্ষকদের দাবিগুলোর সাথে সহমত পোষণ করে।
একই সাথে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককের বেতন-ভাতা মর্যাদার দাবি দাওয়া তোলায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের প্রতি শিষ্টাচার বহির্ভূত যে মন্তব্য করেছেন- তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।
শিক্ষক সমাজ তাদের দাবিগুলো আদায়ে যে আন্দোলনের কর্মসূচি দিয়েছেন-তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তবে শিক্ষকদের যাতে কর্মবিরতি পালন করতে না হয়, ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানাতে না হয় সেজন্য সরকার শিক্ষকদের দাবি মেনে নেবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সরকার শিক্ষাকে বাণিজ্যকরণ করতে যেয়ে শিক্ষাকে পণ্য বানিয়ে ছেড়েছে এবং ৭ শতাংশ ভ্যাট বহাল রেখেছে। এর প্রতিবাদে নানা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষকবৃন্দ প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছেন। অবিলম্বে এ ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সরকারকে ঘোষণার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
এছাড়া ৮ম বেতন স্কেল প্রসঙ্গে বলতে চাই, সরকারের নানা ক্যাডারদের মধ্যে বেতন বৈষম্য হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়গুলো সরকার গুরুত্বের সঙ্গে নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

নিউজবাংলা?একে