নিউজবাংলা- ১২সেপ্টেম্বর শনিবার:

চাঁদপুর: চাঁদপুরে মুন্নী আক্তারের (১৩) লাশ দাফন করতে দেয়নি পুলিশ। লাশটি উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শহরের যমুনা রোড টিলা বাড়ি এলাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে।

 

মৃত মুন্নী আক্তার শহরের বড় স্টেশন এলাকার যমুনা রোড টিলা বাড়ির বাসিন্দা মৃত মানিক মুন্সীর মেয়ে।

জানা যায়, কিশোরী মুন্নী আক্তারকে শুক্রবার দুপুরে স্থানীয় বড় স্টেশন এলাকার রশিদ আবাসিক বোডিংয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। আর এ নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দা মনিজা বেগম।

অপরদিকে কিশোরী মুন্নী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশকে না জানিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকার মাতব্বর হযরত আলীসহ অনেকে সমঝোতার মাধ্যমে লাশটি দাফন করার প্রস্তুতি নেয়। পরে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই নুরুল হক একদল পুলিশসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ দাফনে বাঁধা প্রদান করে। পরে লাশটি থানা নিয়ে আসা হয়।

তাৎক্ষণিক চাঁদপুর মডেল থানার এসআই নুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ মুন্নীর টিলা বাড়ির ঘরে গিয়ে তার মাকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনার সম্পর্কে জোড়ালোভাবে জিজ্ঞাসা করলে মুন্নীর মা মালেকা বলেন, তার মেয়ে ওড়না পেঁছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মামুনুর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশের ছুরুতহাল হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানোর জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান তিনি।

নিউজবাংলা/একে