নিউজবাংলা- ১২সেপ্টেম্বর শনিবার:

সাখাওয়াত হোসেন সাখা:

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা ও মূল ভূ-খন্ড থেকে বিচ্ছিন এই জনপদে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বাল্যবিবাহ বন্ধে বিশেষ কাজ করেছেন তিনি।

ঝড়ে পড়া শিশুদের স্কুল মুখী করতে সক্ষম হন তিনি। এছাড়াও বাল্যবিবাহ রোধ করে কিশোরীদের শিক্ষা মুখী করতে তার অবদান রয়েছে অনেক। শংকর কুমার বিশ্বাস রৌমারী উপজেলায় দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে পাশের হার বিগত ১ বছরের রের্কড ছাড়িয়ে গেছে। এতে খুশি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও শিক্ষক অবিভাবকেরা। সরেজমিনে জানা গেছে রৌমারতে মোট শিশুর বেশিরভাগ শিশুরা পিতা ও মাতা সাথে ক্ষেত খামারে কাজ করে, শ্রম বিক্রিসহ বিভিন্ন স্থানে দিন মজুরের কাজ করে জীবিকা নির¦াহ করে আসছিলো। ওই সব কোমলমতি শিশুকে স্কুলমুখী করতে উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা ব্যবক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে সফলতার মুখ দেখতে পান। এছাড়াও পাবলিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে নকল মুক্ত পরিবেশে পরিক্ষা গ্রহনে তার অবদান রয়েছে। তিনি আসার পর থেকে বাল্যবিবাহ একদমেই বন্ধ হয়ে গেছে। বিগত ১ বছর থেকে রৌমারী উপজেলায় বাল্যবিাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া ও তার পর বাল্যবিবাহ পড়ানোর সময় হাতে নাতে ধরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বিভিন্ন ভাবে জরিমানা করে। বিগত ৩ বছরের চেয়ে গত দুই বছর ধরে উপজেলার শিক্ষার মান উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেছেন উপজেলাবাসী। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী র্কমর্কতা ভারপ্রাপ্ত শংকর কুমার বিশ্বাস জানান,রৌমারী উপজেলায় যোগদানের পর থেকে এ উপজেলার সমস্যাগুলোতে চিহ্নিত করেছেন। এরমধ্য বাল্যবিবাহ ছিলো এ উপজেলার প্রধান সমস্যা। প্রথমে এসে বাল্যবিবাহ রোধ করতে শুরু করি। প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে ঘুরে জনসাধারণ ও শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময়, শিক্ষার্থীদের ও জনসাধারণ সমস্যা সমাধানে কাজ করি। শির্ক্ষাথীরদের পড়ালেখায় মনযোগী করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করে। শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের নেয়া সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার ফলে শিক্ষার মান উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে শিক্ষার মান উন্নয়নে আরো বেশী কাজ করার কথাও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শংকর কুমার বিশ্বাস।

নিউজবাংলা/একে