নিউজবাংলা- ১৩সেপ্টেম্বর রোববার:
ঢাকা: নাচ ও মডেলিং থেকে ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন। তারপর সিনেমায় আসা। বুলবুল জিলানীর ‘নীল আঁচল’ ছবির মাধ্যমে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও রেসীর প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হাছিবুল ইসলাম মিজানের ‘কপাল’।

তারপর থেকে নিয়মিত অভিনয় চলচ্চিত্রে। ‘কপাল’ থেকে ‘স্বামীভাগ্য’ পর্যনত্ম ৩৭টি ছবিতে নায়িকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর বিয়ে এবং সনত্মানের জন্য দু’বছর বিরতি। সম্প্রতি দুটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ফিরলেন রেসী। এই ফেরা নিয়ে আজকের ‘আলাপন’-এ কথা বলেছেন তিনি। তার সাক্ষাৎকারটি সানডেটাইমস২৪ ডটকম পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলঃ
প্রশ্নঃ অবশেষে সিনেমায় ফিরলেন?
রেসীঃ প্রায় দু’বছর পর সিনেমায় ফিরলাম। বিয়ে, ঘর-সংসার এবং মেয়ের কারণে সিনেমার জন্য সময় বের করতে পারছিলাম না। এখন মেয়ে একটু বড় হয়েছে। তাই সময়টা পেয়ে গেলাম। দুটি ভাল ছবির অফারও চলে এলো। রাজি হয়ে গেলাম।
প্রশ্নঃ ছবি দুটির নাম কি?
রেসীঃ একটি মুশফিকুর রহমান গুলজার পরিচালিত সরকারি অনুদানের ছবি ‘লাল সবুজের সুর’, আরেকটি বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ‘শূন্য’। দুটি ছবিতেই আমার নায়ক ওমর সানি।
প্রশ্নঃ সিনেমায় অভিনয় করার জন্য এখন আপনি কতটা প্রসত্মুত?
রেসীঃ শতভাগ প্রস্তুত। একদম সিরিয়াসলি অভিনয় করবো। আমার চেষ্টাটা পুরোপুরি থাকবে। বিশেষ করে আমার স্বামী পান্থ শাহরিয়ার এ বিষয়ে আমাকে যথেষ্ট অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আসলে তার অনুপ্রেরণা না থাকলে অভিনয়ে ফেরা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না।
প্রশ্নঃ এখন অভিনয় করতে এসে কোন কোন বিষয়ে প্রাধান্য দেবেন?
রেসীঃ আমি অভিনয়ের ক্ষেত্রে সব সময়ই ডেডিকেটেড ছিলাম। এখনও আছি। ভাল গল্প, গুরম্নত্বপূর্ণ চরিত্রকে বেশি প্রাধান্য দেবো। চরিত্রের গুরম্নত্ব না থাকলে অভিনয় করবো না।
প্রশ্নঃ একটু পরিষ্কার করে বলবেন?
রেসীঃ আমি খুব ভাল করেই জানি যে আমাকে কি করতে হবে। লাফালাফি করার মতো নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা আর নেই। এখন আমি নায়িকা না, অভিনেত্রী হতে চাই।
প্রশ্নঃ নাটক, বিজ্ঞাপনের বিষয়ে কিছু ভাবছেন?
রেসীঃ বিশেষ কোন দিবসের নাটক হলে করবো। যেমন ‘ভিলেন’ নামে একটি নাটকে আমি সিনেমার নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছিলাম। সেই রকম বিশেষ কিছুর অফার পেলে করবো। ভাল আর গুণগত মানসম্পন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপনচিত্রের অফার পেলে করবো।
প্রশ্নঃ ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন কোন পরিকল্পনা?
রেসীঃ নাচে মনোযোগী হচ্ছি। অনেকটাই গ্যাপ পড়ে গেছে ক্লাসিক্যাল নাচে। এখন আবার নাচকে গুরম্নত্ব দিচ্ছি। আর অভিনয়ে যখন নেমেছি, তখন গুরম্নত্ব সহকারেই করবো। আমার রক্তের সঙ্গে মিশে আছে অভিনয়। মনে এখন অভিনয়ের ক্ষুধা। আমার মনে হয় অভিনয়কে আমার এখনও অনেক কিছু দেয়ার আছে।

নিউজবাংলা/একে