নিউজবাংলা- ১৩সেপ্টেম্বর রোববার:

বাসাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতি বছরের মত এবারও টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার দৃষ্টি নন্দন টুরিস্ট স্পট বাসুলিয়ার ঐতিহাসিক চাপড়া বিলে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকালে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে বাসাইল-সখিপুর সড়কের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা সহ বিশাল আয়তন বিশিষ্ট আকাশ ছোয়া ঐতিহাসিক চাপড়া বিলে বাহারী রঙে সজ্জিত নৌকা নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান নেয় দুর-দুরান্ত থেকে আসা লোকজন। এতে অথৈই জলে থৈথৈ চাপড়াবিল মুহুর্তের মধ্যে পরিনত হয় নৌকা আর মানুষের মিলন মেলায়। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করতে ছুটে আসে বিভিন্ন রং আর বাহারী নামের নৌকা। এসব নৌকার মধ্যে সিপাই, খেলনা, হলঙ্গা মডেলের সোনারতরী, ময়ূরপঙ্খি, পঙ্খিরাজ শঙ্খমালা, পানসিসহ বাহরী নামের নৌকা।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে নির্বাচিত চারবারের এমপি প্রায়ত “কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহান স্মৃতি ফাউন্ডেশন” এর উদ্যোগে আয়োজিত এ নৌকা বাইচ প্রতিযোীতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুর রাজ্জাক ভোলা এমপি। নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আব্দুর রহিম আহমেদের সভাপতিত্বে নৌকাবাইচ উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অনুপম শাহজাহান জয় এমপি। এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার টাঙ্গাইল বাবু সঞ্জয় সরকার, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিলিয়া শারমীন সহ এলাকার আওয়ামীলীগের ও সহযোগি সংগঠনের নেতবৃন্দ । হাজার হাজার নারী-পুরুষ এ নৌকা বাইচ উপভোগ করেন।
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় উপজেলার নথখোলার খেলনাতরী, ফুলকীর সোনারতরী। দ্বিতীয় সৈদামপুরের নৌকা এবং তৃতীয় হয় মির্জাপুর উপজেলার মায়ের দোয়া ও কালিহাতির পঙ্খীরাজ । এছারাও শতাধিক ছোট ছোট নৌকা এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে। উক্ত নৌকা বাইচে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন ফাউন্ডেসনের আহবায়ক একে আজাদ খানসুর ও সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম।
পরে উপস্থিত অতিথি বৃন্দ বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করেন।

নিউজবাংলা/একে