নিউজবাংলা- ১৩সেপ্টেম্বর রোববার:
ঢাকা: মাটির নিচে বিদ্যমান জীবাষ্ম জ্বালানির কারণে অ্যান্টার্কটিকার সব বরফ গলে যাবে এবং সমুদ্রের পানির উচ্চতা ২০০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যাবে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা যায়।

 

 

হলিউডের অনেক চলচ্চিত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়। তবে এটি আর সিনেমার পর্দায় নয়, বাস্তবে দেখা যাবে বলে সতর্ক করেছে বিজ্ঞানীরা।

কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের বিজ্ঞানী ক্যান ক্যালডেরিয়া বলেন, প্রথমবারের মতো আমি এবং আমার সহকর্মীরা দেখতে পেয়েছি মাটির নিচে যে পরিমাণে জীবাষ্ম জ্বালানি রয়েছে সেটি অ্যান্টার্কটিকার সব বরফ গলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২০০ ফুট বেড়ে যাবে।

সাইন্স অ্যাডভান্স জার্নালে শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

কার্নেগি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র অ্যান্টার্কটিকার বরফ নয়, মাটির নিচে বিদ্যমান জীবাষ্ম জ্বালানি এই বিশ্বের আরও অনেক বরফ গলিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ঠ।’

এই গবেষণাপত্রকে তার জীবনের উল্লেখযোগ্য বলে অ্যাখ্যায়িত করেছেন কার্নেগি।

জাতিসংঘের ইন্টার গর্ভমেন্ট প্যানেল অন ক্ল্যাইমেট চেঞ্জ (আইপিসিসি) আগেই সতর্ক করে বার্তা দিয়েছে যে, এই শতাব্দির শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট বাড়বে। কার্নেগিও আইপিসিসির এই শঙ্কা সত্য বলে জানালে।

কী ঘটবে এই শতাব্দির শেষ নাগাদ? এমন প্রশ্নের জবাবে কার্নেগি এবং তার সহকর্মীরা বলেন, ‘বিশ্ব আরও উষ্ণ হবে এবং দ্রুতই বাড়বে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা। প্রতি দশকে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক ফুট করে বাড়বে। অর্থাৎ আগামী এক হাজার বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে একশ ফুট।’

নিউজবাংলা/একে