নিউজবাংলা: ১৭ আগস্ট, সোমবার:
ঢাকা: আমেরিকা এবং দক্ষিণ কোরিয়া আজ(সোমবার) বিশাল সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
এ মহড়া চলতি মাসের ২৮ তারিখ পর্যন্ত চলবে। উত্তর কোরিয়ার হুমকি অগ্রাহ্য করে এ মহড়া শুরু করা হল। মহড়াকে যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবে গণ্য করা হবে বলে পিয়ংইয়ং এর আগে বলেছিল। খবর রেডিও তেহরান।
বাৎসরিক উলচি ফ্রিডম অনুশীলন নামে পরিচিত এ মহড়াকে প্রধানত কম্পিউটার সিমুলেশন বলা হলেও এতে কোরিয়ার ৫০ হাজার এবং আমেরিকার তিন হাজার সেনা অংশ নিয়েছে। মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার সর্বাত্মক হামলার পরিস্থিতি ফুটিয়ে তোলা হবে। অবশ্য এ সত্ত্বেও ওয়াশিংটন এবং সিউল তাদের ভাষায় এ মহড়াকে নেহাৎ আত্মরক্ষামূলক বলে দাবি করেছে।
এদিকে, উত্তর কোরিয়ার আন্তসীমান্ত ইস্যু নজরদারির দায়িত্বে নিয়োজিত কোরিয়া পুনএকত্রীকরণ কমিটি এর আগে এ মহড়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। এতে, বিশাল আকারের এ জাতীয় মহড়া প্রায় যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য। এ জাতীয় ঘটনাক্রমে সামরিক সংঘাত সৃষ্টি করতে পারে যা কিনা সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হল প্রচণ্ড শক্তিশালী পাল্টা সামরিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাশালী জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশন হুমকি দিয়েছিল।
এদিকে দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তিন স্থল মাইন বিস্ফোরণে সীমান্ত টহলে নিয়োজিত দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সেনা পঙ্গু হওয়ার পর গত সপ্তাহ থেকে আন্তসীমান্ত প্রচারণা পুনরায় শুরু করে সিউল। এক দশকের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর সীমান্ত জুড়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাউডস্পিকার ব্যবহার করে এ প্রচারণা শুরু হয়।
অবশ্য স্থল মাইন হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে পিয়ংইয়ং। একই সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিরোধী আন্তসীমান্ত প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধের দাবি করেছে। প্রচারণা বন্ধ না হলে সর্বাত্মক সামরিক অভিযান শুরু হতে পারে বলে এর আগে হুশিয়ার করে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।