নিউজবাংলা- ১৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার:

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

এবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ এবং ওই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আর এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ৩ যুবককে আটক করেছে। আটককৃতরা হল-ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের শাহজানের ছেলে রিপন (১৮) ও তার অপর দুই সহযোগী কুরবার (১৯) ও রুবেল (১৮)।

জানা যায়, উপজেলার চর কোনাবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে চিতুলায়া গ্রামের শাহজানের ছেলে ঢাকার উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রিপনের সাথে মোবাইল ফোনে কথোপকথন থেকে সখ্যতা গড়ে উঠে। এর ধারাবাহিকতায় রিপন গত শনিবার মোটরসাইকেলযোগে ওই ছাত্রীকে যমুনা সেতু এলাকার বেলটিয়া নামকস্থানে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই নৌকা ভাড়া করে অপেক্ষায় ছিল রিপনের কয়েকজন সহযোগী। তারা ছাত্রীটিকে যমুনা নদী দেখানোর কথা বলে নৌকায় তুলে। পরে নৌকা মাঝ নদীতে পৌছালে রিপন, আলামিন ও নয়নসহ অন্যরা ছাত্রীটিকে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আর ওই ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে তাদের অপর এক বন্ধু আলামিন। পরে তারা ধারনকৃত ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। এলাকার লোকজন ইন্টরনেটে ধর্ষণের ভিডিওটি দেখে তা ডাউনলোড করে। আর তখনি ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। পরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মঙ্গলবার সকালে রিপন, রুবেল ও কুরবান নামের ৩ জনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের আটক করে ভূঞাপুর থানায় নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ছাত্রীর মামা জানান, মেয়েটি নানীর বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে। ধর্ষনের সময় মেয়েটি বাঁধা দিলে তাকে হত্যা করে যমুনা নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া বিষয়টি জানাজানি করলে ভিডিও প্রকাশ করা হবে বলে হুশিয়ারী করে দেয়। পরে মেয়েটি ঘটনাটি আমাদের জানালে আমরা গোপনে ভিডিও উদ্ধারে তৎপর হলেও ধর্ষকরা ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে দেয়।

ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ ফজলুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অপর আসামীদের আটকে অভিযান চলছে।

 

নিউজবাংলা/একে