নিউজবাংলা: ১৭ আগস্ট, সোমবার:

এম এ আই সজিব, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:

গ্রাম-প্রধান বাংলাদেশের মানুষের মনে প্রাণে এখনো আছে লোকগান। আকাশ সংস্কৃতির উত্তাল সময়েও লোকগানকে দারুণভাবে গ্রহণ করছে গ্রাম, শহর তথা বাংলাভাষী মানুষ। নানা নিরীক্ষা শেষে লোকজ গানই দেশের নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা গলায় তুলে নিচ্ছেন।

 

জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে সে সব গান। টিভি চ্যানেল ও রেডিও এ গানকে গুরুত্বের সঙ্গে প্রতিনিয়ত পরিবেশন করছে। গানের মৌলিক কথা ও সুর পরিবর্তন করে নবীন ও প্রবীণ শিল্পীরা কখনো কখনো পরিবেশন করছেন, যা কপিরাইট নীতি বিরুদ্ধ। হতাশার এখানেই শেষ নয়, অধিকাংশ গানে গীতিকারের নাম উলে¬খ করা হয় না। ‘সংগৃহীত’ নামক একটি অপ্রিয় শব্দ জুড়ে দেওয়া হয়, আবার কোনো কোনো সময় সেটাও থাকে না।

এ রকমভাবে শুভঙ্করের ফাঁকি দিয়ে গীতিকারকে নির্ধারিত পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি শেকড় সন্ধানী এ সব গান ও গানের মানুষের যাপিত জীবনকে ক্রমশ বিস্মৃতির অতলে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বিশ, ত্রিশ ও চলি¬শ দশকের মঞ্চমাতানো লোকশিল্পীদের পরিবার সীমাহীন দারিদ্র্যতায় তো বাস করছেনই, সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে প্রয়াত শিল্পীদের জীবন-ভাবনা বহির্ভূত নানা বিভ্রান্তি।

ইদানীং ব্যাপকভাবে যোগ হয়েছে, একজনের গান অন্যজনের নামে চালিয়ে দেওয়ার প্রচলন। সরকারি পর্যায়ে সঠিক তদারকির অভাব ও তাদের উত্তরাধিকারের অসচেতনতায় এ বিষয়টি ব্যাপক আকার ধারণ করছে।

 

নিউজবাংলা/একে