অবশেষে শিক্ষার্থীদের কাছে হার মানল সরকার
নিউজবাংলা- ১৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার:
ঢাকা: অবশেষে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র ওপর আরোপিত বর্ধিত মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে হার মানল সরকার। গত কয়েকদিন হলো শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনে আরোপিত সাড়ে সাত শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করল সরকার।
সোমবার দুপুরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূইঞা জানান, ভ্যাট প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর বিকেলে ভ্যাট প্রত্যাহার করার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়। এ সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার আশা করে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকগণ তাদের আন্দোলন বন্ধ করে শিক্ষাঙ্গনে ফিরে যাবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সরকার কোনমতেই শিক্ষাঙ্গনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় না এবং জনজীবনে অসুবিধাও সৃষ্টি করতে চায় না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে সরকার ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের উপর যে সাড়ে ৭ শতাংশ মূসক আরোপিত করেছিল সেটি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এদিকে এর আগে গত বুধবার হতে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ শুরু করেছিল শিক্ষার্থীরা। ভ্যাট ভ্যাট করিস ক্যান, ভ্যাট কি তোর বাপ দাদার? শিক্ষা কি পণ্য, ভ্যাট কিসের জন্য? এক দফা এক দাবি, ভ্যাট ছাড়া শিক্ষা দিবি। ছাত্রের ওপর গুলি কেন, জবাব চাই-জবাব চাই। এক দফা এক দাবি, নো ভ্যাট-নো ভ্যাট। এমনই বিভিন্ন স্লোগানে রাজপথ মুখরিত রেখেছিল শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের যুক্তি ছিল- যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা একটি মৌলিক অধিকার, পণ্য নয়- তাহলে কেন শিক্ষার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হবে। আর তাই তারা ভ্যাট প্রত্যাহারের এক দফা দাবি জানিয়ে টানা আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল।আর শিক্ষার্থীদের এমন আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অবশেষে শিক্ষার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিল সরকার।
নিউজবাংলা/একে